বিশ্বব্যাংকের সূত্রে এডিবি’র হিসাব মতে ২০০৬ সালে দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারী এন্টার প্রাইজ এর সংখ্যা ছিল মোট ৬.৮ মিলিয়ন (সে হিসাবে ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০মিলিয়নের উপরে এবং লাভজনক ও নিশ্চিত বিনিয়োগের সুযোগও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে), তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১ মিলিয়ন সফল উদ্যোক্তা আছে যাদের কাছে নিশ্চিন্তে ৩৯৫.৯৭ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করা যায়! নতুন এসএমই প্রতিষ্ঠা বা কোন রকমে টিকে থাকাদের উন্নয়ন কোন প্রকল্পে নেই। কারণ সব প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ঋণের এই বিস্তৃত নতুন বাজারে পুঁজি’র মুনাফা নিশ্চিত করা, এসএমই খাতের উন্নয়ন নয়। সব ধরণের পুঁজি যাতে নিরাপদে স্ব স্ব কারবার করতে পারে তার পরিবেশ তৈরি করাই দাতাগোষ্ঠীর কাজ। সেই পুঁজির বিকাশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার প্রচ্ছন্নভাবে সহায়কের ভূমিকা পালন করছে । বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী যেসব উদ্যোক্তাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ও সামর্থ্য আছে কেবল তারাই এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য। তেলীর মাথায় তেল নয়, এ যেন পুঁটিমাছ দিয়ে বোয়াল ধরা আর কি! প্রকৃত পক্ষে এসএমই খাতে ব্যাংক গুলির ঋণ দেবার কারণ কম ঝুঁকিতে উচ্চ সূদ আয়ের লোভ, এখানে নীতি বা মূল্যবোধের বালাই নাই।
দাতাগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজার ব্যাংক, মহাজন ব্যাংক, ঈমানদার ব্যাংক সহ নানা নামের নানা ঢং এর আর্থিক প্রতিষ্ঠান সবারই নজর এখন এসএমই এর দিকে। কিন্তু সব এসএমই এর দিকে নয়, শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত ও লাভজনকভাবে পরিচালিত এসএমই এর দিকে। বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য দাতা ও বন্ধুরা মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেমন, এডিবি ১২৬.৬৭ মিলিয়ন ডলার এর মূল প্রকল্প নং-৩৬২০০, আগস্ট ২০০৯ পর্যন্ত, পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ অক্টোবর ২০০৯ হতে সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত । এই প্রকল্পে এডিবি ৭৬ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে ৮ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য ঋণ হিসাবে। যার সূদের হার গ্রেস পিরিয়ডে ১% এবং অবশিষ্ট সময়ের জন্য ১.৫% । স্বল্প সুদের কারণে দৃশ্যত এটি একটি মহৎ উদ্যোগ মনে হলেও এর আসল মোজেজা অন্য জায়গায়। কারণ এই ঋণ ডলারে পরিশোধ করতে হবে। আর অতীত অভীজ্ঞতানুযায়ী টাকার অবমূল্যায়নের ধারাবাহিকতায় আগামী ৪০ বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান বর্তমানের অর্ধেকেরও নীচে নেমে আসবে। বর্তমান বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার কারণেই তা অনিবার্য। ফলে গৃহীত অর্থের বহুগুণ বেশী পরিশোধ করতে হবে ভবিষ্যতে। শুধু কি তাই! এই ঋণের সাথে বিনামূল্যে আরও আছে হাজারো শর্তের বেড়াজাল। এই ঋণ বা বিনিয়োগের আসল লক্ষ্য মুনাফা কামানো নয়, শর্ত দেবার ক্ষমতা অর্জন। পুঁজি’র সুবিধা মত সবকিছু সংস্কার, বদল করার শর্ত। সবধরনের পুঁজি যাতে নির্বিঘ্নে কারবার করতে পারে তার ব্যবস্থা করার ক্ষমতা অর্জন।
দাতাগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজার ব্যাংক, মহাজন ব্যাংক, ঈমানদার ব্যাংক সহ নানা নামের নানা ঢং এর আর্থিক প্রতিষ্ঠান সবারই নজর এখন এসএমই এর দিকে। কিন্তু সব এসএমই এর দিকে নয়, শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত ও লাভজনকভাবে পরিচালিত এসএমই এর দিকে। বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য দাতা ও বন্ধুরা মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেমন, এডিবি ১২৬.৬৭ মিলিয়ন ডলার এর মূল প্রকল্প নং-৩৬২০০, আগস্ট ২০০৯ পর্যন্ত, পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ অক্টোবর ২০০৯ হতে সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত । এই প্রকল্পে এডিবি ৭৬ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে ৮ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য ঋণ হিসাবে। যার সূদের হার গ্রেস পিরিয়ডে ১% এবং অবশিষ্ট সময়ের জন্য ১.৫% । স্বল্প সুদের কারণে দৃশ্যত এটি একটি মহৎ উদ্যোগ মনে হলেও এর আসল মোজেজা অন্য জায়গায়। কারণ এই ঋণ ডলারে পরিশোধ করতে হবে। আর অতীত অভীজ্ঞতানুযায়ী টাকার অবমূল্যায়নের ধারাবাহিকতায় আগামী ৪০ বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান বর্তমানের অর্ধেকেরও নীচে নেমে আসবে। বর্তমান বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার কারণেই তা অনিবার্য। ফলে গৃহীত অর্থের বহুগুণ বেশী পরিশোধ করতে হবে ভবিষ্যতে। শুধু কি তাই! এই ঋণের সাথে বিনামূল্যে আরও আছে হাজারো শর্তের বেড়াজাল। এই ঋণ বা বিনিয়োগের আসল লক্ষ্য মুনাফা কামানো নয়, শর্ত দেবার ক্ষমতা অর্জন। পুঁজি’র সুবিধা মত সবকিছু সংস্কার, বদল করার শর্ত। সবধরনের পুঁজি যাতে নির্বিঘ্নে কারবার করতে পারে তার ব্যবস্থা করার ক্ষমতা অর্জন।
<<১% সূদে ডলারের ঋণ টাকায় কত পার্সেন্ট দাঁড়ায় তার একটা নমুনা>>
সাধারনত এই ঋণ গুলি ৪০/৫০ মেয়াদি হয়, মনে করুন ১৯৭১ সালে ১% হারে ১০০০ ডলার নিয়েছিলাম যা চলতি বছর পরিশোধ্য। তাহলে ডলারের হিসেবে ৪৩ বছরে সরল সূদে ও আসলে পরিশোধ করতে হবে ৪৩০ ডলার সূদ সহ পরিশোধ্য ঋণের পরিমান (১৪৩০ ডলার @৭৮ টাকা) সর্বমোট ১,১১,৫৪০/- টাকা যদিও টাকার হিসাবে ১৯৭১ সালে ঋণ নিয়েছিলাম মাত্র (১০০০ ডলার @৭ টাকা ৮৬ পয়সা) ৭,৮৬০/- টাকা, অতএব ৪৩ বছরের ৩৩৮০ টাকা সূদ ও আসল মিলে পরিশোধযোগ্য মাত্র ১১,২৯৩/-টাকা!
কেবল মাত্র ডলারে পরিশোধ্য হওয়ায় মাত্র (১০০০ ডলার) ৭৮৬০ টাকা ঋণের বিপরীতে পরিশোধ করতে হচ্ছে ১০৩৬৮০/- টাকা সূদসহ মোট ১,১১,৫৪০/- টাকা!
এখন আপনি হিসাব করে দেখুন ডলারের ১% টাকায় বার্ষিক ২৪১% এরও বেশী,
শুভংকরের ফাঁকিটা এখানেই।
সাধারনত এই ঋণ গুলি ৪০/৫০ মেয়াদি হয়, মনে করুন ১৯৭১ সালে ১% হারে ১০০০ ডলার নিয়েছিলাম যা চলতি বছর পরিশোধ্য। তাহলে ডলারের হিসেবে ৪৩ বছরে সরল সূদে ও আসলে পরিশোধ করতে হবে ৪৩০ ডলার সূদ সহ পরিশোধ্য ঋণের পরিমান (১৪৩০ ডলার @৭৮ টাকা) সর্বমোট ১,১১,৫৪০/- টাকা যদিও টাকার হিসাবে ১৯৭১ সালে ঋণ নিয়েছিলাম মাত্র (১০০০ ডলার @৭ টাকা ৮৬ পয়সা) ৭,৮৬০/- টাকা, অতএব ৪৩ বছরের ৩৩৮০ টাকা সূদ ও আসল মিলে পরিশোধযোগ্য মাত্র ১১,২৯৩/-টাকা!
কেবল মাত্র ডলারে পরিশোধ্য হওয়ায় মাত্র (১০০০ ডলার) ৭৮৬০ টাকা ঋণের বিপরীতে পরিশোধ করতে হচ্ছে ১০৩৬৮০/- টাকা সূদসহ মোট ১,১১,৫৪০/- টাকা!
এখন আপনি হিসাব করে দেখুন ডলারের ১% টাকায় বার্ষিক ২৪১% এরও বেশী,
শুভংকরের ফাঁকিটা এখানেই।
No comments:
Post a Comment