Saturday, August 15, 2015

অসত্য গপ্প!

অনুঘটনাঃ1
আমার অনেক দিনের চেনা একজন বেসরকারী কলেজের 'পড়িয়ে' যিনি চাকরি জীবনের প্রথম দিন বা তার আগে থেকেই নিজেকে 'প্রফেসার' হিসাবে পরিচয় দেন৷সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবারিত সূযোগের কারণেই হোক কিম্বা সামাজিক প্রচারের ব্যক্তিগত সুবিধার কারণেই হোক অথবা কেবল মাত্র 'স্ট্যাটাস' প্রজননের জন্য সস্তা কিন্তু উঁচু জাতের শক্তিশালী শুক্রাণু হিসেবেই হোক, তার টাইম লাইন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় টইটুম্বুর! ইদানিং জনকল্যাণে তার জ্ঞান বিতরন ও জনকষ্টে তার আকুতি কাকুতি ও মনোকষ্ট দেখে তার প্রতি আমার ভ্রান্ত ধারণার জন্য মনটা আত্মগ্লানিতে কোঁকিয়ে উঠত! তাঁর সাম্প্রতিক একটি সচিত্র স্ট্যাটাসে দ্বিগবিজয়ী হাঁসি মাখা ছবির নিচে ক্যাপশনঃ 
"সেদিন প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য অবলোকনে তারুণ্যের অহংকার আমাদের সকলের প্রিয় মহামান্য সংসদ সদস্য"*******" এমপি মহোদয় এর সাথে কিছুক্ষণ!"
 বি:দ্র: অফিসিয়াল রেকর্ড মোতাবেক আমি নিজেও এই মহান পড়িয়ে'র একজন সৌভাগ্যবান অপড়ুয়া ছিলাম৷
 অনুঘটনাঃ2
বর্তমানে মহান জাতীয় সংসদের একজন বিশাল ক্ষমতধর ও প্রভাবশালী সদস্য যাকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি না চিনলেও দেশ বিদেশের অনেকেই তাঁকে চেনেন, যে কোন সময় মন্ত্রী হতে পারেন এমন কথাও বাতাসে ভাসে৷ তাঁর ফেসবুক আইডির শেষে "এমপি" শব্দটিও তাঁকে আলাদা ভাবে তাঁর পরিচয় জানিয়ে দেয়, আর চিনিয়ে দেয় তাঁর সাম্প্রতিক একটি সচিত্র স্ট্যাটাস যেখানে দুজন মধ্যবয়সী হাস্যোজ্জ্বল মানুষের ফুল স্কেপ ছবিতে ক্যাপশনঃ
"আজ মিটিং শেষে ডিজি সারের সাথে সেলফি!"
 সংবিধিবদ্ধ দায়মুক্তিঃ
অনুঘটনা-1 এ, কোন কারিগর আমাদের মানুষ বানায় আর অনুঘটনা-2 এ, কোন ঈশ্বর সেই মানুষদের ভাগ্য বিধাতা, তেমন প্রশ্ন বা কথা আমি কষ্মিনকালেও কাউকে এবং কোথাও বলিনি এবং ইহকাল, পরকাল বা কালহীন কোন কালেও আমি কাউকে বলবো ন তাই অতীত,বর্তমান বা ভবিষ্যতে এই গ্রহসহ সৌরজগতের ভিতরের বা বাহিরের কোন আদালতে আমার বিরুদ্ধে গোপনীয়তা ভঙ্গ বা রাষ্ট্রদ্রোহীতা বা ব্লাসফেমীর অভিযোগ আনা যাবে না, আর আনলেও তা আইনগত ভাবে গ্রাহ্য বা বিচার্য্য হবে না।

জনগনের মুরগী আর ঈশ্বরের শেয়াল!

মানব ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাসঈশ্বর ভাগ্য নামক মুরগীটি পুরে রেখেছেন অর্থনীতির খাঁচায় যা রয়েছে রাজনীতিবিদ নামক শেয়ালদের জিম্মায় আর ক্ষমতা নামক শয়তানের অধীনে।
জ্ঞান বিজ্ঞানের অন্বেষা মূলত প্রকৃতির দূর্বোধ্য জটিল নিয়মের সরলীকৃত এবং সার্বজনীন উত্তর জানা এবং তা মানব কল্যাণে ব্যবহার করা। আর এই উত্তর খোঁজার কাজটিকে আরও সহজীকরনের লক্ষ্যেই নানা শাখা-উপশাখায় বিভক্ত করা হয়েছে। সমস্ত বিজ্ঞানের ক্ষমতাকেই মানবতার পক্ষে বা বিপক্ষে ব্যাবহার করা যায় আর বাস্তবে ঘটেছেও তাই, পরমানু বিজ্ঞান আক্ষরিক অর্থেই এর জ্বলন্ত উদাহরন। বিজ্ঞান মানব সভ্যতাকে দুই পা এগিয়ে দিলে আবার মানবতাকে এক পা পিছিয়েও দিয়েছে। বিজ্ঞান আর মানবতার এই দ্বন্দের নেট ফলাফলই প্রগতি যা নিরুপন করে সভ্যতার গতি ও প্রকৃতি, আর এটাই প্রকৃতির নিয়ম কেবল মাত্র অর্থনীতি এর ব্যাতিক্রম, যদিও বর্তমানে অর্থনীতি মানেই পূঁজিবাদী অর্থনীতি! গনতন্ত্রে 'জনগন' আর ধনতন্ত্রে 'বাজার' যত নষ্টের গোরা! শিল্প বিপ্লবের প্রত্যক্ষ ফল হিসাবে 'ল্যান্ড-লেবার-ক্যাপিটাল' নির্ভর উৎপাদন কাঠামোর সূত্রপাত হলেও ক্ষমতা ও অস্ত্রের অর্বাচিন ও অযাচিত ব্যবহারে তা খুব শিঘ্রই বস্তুত পক্ষে কেবল মাত্র ক্যাপিটাল নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন কাঠামো হিসাবে বিকশিত হতে থাকে যেখানে ‘ল্যান্ড-লেবার’ এর ব্যবহার থাকলেও ভূমিকা থাকে না, ক্যাপিটাল একাই ক্রমান্বয়ে সসস্ত্র ঈশ্বরের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়। এর প্রত্যক্ষ ফলাফল হিসাবে মানুব জীবন ঈশ্বরকে তথা পুঁজিকে আবর্তন করে বেঁচে থাকতে বাধ্য হয়। ইলেকট্রনিক্স বিজ্ঞানের রকেট গতির বিকাশে আমাদের মৌলিক উৎপাদন কাঠামো আমুল বদলে গেলেও অর্থনীতির তাত্ত্বিক কাঠামো এখনও এডাম স্মীথ এর সেই ভ্রান্তিকর ‘ওয়েল্থ অফ নেশন’ আর বায়বীয় ‘মোরাল সেন্টিমেন্ট’ এর গোঁজামিল নির্ভর, কারণ তাতেই পুঁজি ও ক্ষমতার লাভ।
তুলনামুলক ভাবে অর্থনীতি মৌলিক বিজ্ঞানের নবীন শাখা, আর এর জন্ম, উন্মেষ বা বিকাশ জনকল্যাণে বা জনপ্রয়োজনে ঘটেনি, বরং তা পরিকল্পিত ভাবে ব্যাবহৃত হয়েছে জনধোকা দিতে, সামষ্টিক বঞ্চনাকে ব্যাক্তিক সমৃদ্ধির সোপান হিসেবে, আর সে জন্যই জগতের সকল বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সঠিকতা পর্যবেক্ষক নিরপেক্ষ ভাবে নিরুপন করা গেলেও 'অর্থনীতি বড়ই জটিল বিষয়' জাতীয় ধোঁয়াসার জন্য এর তত্ত্বের সঠিকতা নিরুপনের জন্য লাগে 'বিশেষজ্ঞ' পর্যবেক্ষক যারা অর্থনীতিবিদ হিসেবে বাজারে পরিচিত এবং নানা মুনির মতাদর্শে লালিত ও নানা বেপারীর হালুয়াতে পালিত। বেপারটা আসলে গোপাল ভাঁড়ের 'চোপর' দেখানোর মতই যারা দেখতে পাবে না তারা 'জারজ'! গুনাগুন ও বৈশিষ্টের আলোকে অর্থনীতি কোন বিজ্ঞান নয়, বরং তা ধর্মের মত, “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর”।
গুন বিচারে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে কার্যকর এবং জঘন্যতম ধর্মীয় মতবাদ হল পূঁজীবাদী অর্থনৈতিক মতবাদ যা বৈজ্ঞানিক যুক্তি, উপযোগীতা ও নৈর্ব্যক্তিক কার্যাকরীতা বিবেচনা না করে 'বাজার', 'চাহিদা' ইত্যাদি ভূতুরে ধারণাকে সুকৌশলে বৈজ্ঞানিক সত্য হিসাবে বিশ্বাস করানো হয়েছে। আমাদের অর্থনীতিবিদগন জগতের সবচেয়ে কার্যকর ও সফল ধর্ম যাজক হতে পারেন কিন্তু কোন ক্রমেই বিজ্ঞানী নয়। সত্যিকার অর্থে আমাদের বর্তমান অর্থনীতি মানব কল্যাণে নয় বরং মানব শোষনেই বেশী কার্যকরী আর সেটাই তার লক্ষ্য। চোখে মনিবের ঠুলি পরানো জ্ঞান পাপীরা অর্থনীতির গতি প্রকৃতির সঠিক ব্যাখ্যা নয় বরং কি ভাবে অর্থনৈতিক নীতির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হবে সেই ছবক দেন গোঁজামিল আর বায়বীয় শব্দের সাহায্যে, হয়ত এ কারণেই যেখানে দুইজন অর্থনীতিবিদ থাকে সেখানে কম পক্ষে তিনটি মতামত থাকে।
তবে সবচেয়ে বড় দু:খের কথা দু:খ করে কোন লাভ নাই নিজের সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়া কারণ ধর্ম নিয়ে আমরা দুই একটা প্রশ্ন করা শিখলেও অর্থনীতি নিয়ে আমরা এখনো কথা বলাই শিখিনি! বিনা প্রশ্নে কোন কিছু বিশুদ্ধ হয় না, ধর্ম নিয়ে মানুষ যখন প্রশ্ন করতে শিখেছে তখন কোন এক দিন এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে আসতে পারবে কিন্তু ঈশবর সয়ং প্রশ্নের সম্মূখীন হলেও ঈশ্বরের ভূমিকা ছিনতাইকারী অর্থনীতি এখনো প্রশ্নাতীত বিশ্বাসে প্রতিষ্ঠিত।

Wednesday, August 5, 2015

miZan raHman: #বিবেকবদ্ধ সতর্কীকরণ:

miZan raHman: #বিবেকবদ্ধ সতর্কীকরণ:: অরণ্য মানব
পেটের দায়ে মহাজনী আপিসের লোকাল বড় বাবু, মনের খিদায় শব্দ শ্রমিক, ধর্মে অধর্মী, বিশ্বাসে অবিশ্বাসী, স্বভাবে সর্বভূক, মননে সর... #বিবেকবদ্ধ সতর্কীকরণ:

Monday, August 3, 2015

দারিদ্র্য মানুষের প্রথম পাপ!

ঈশ্বর মানুষের জীবনে তাঁর ভূমিকা টাকার উপর ন্যস্ত করেছেন তাই মানুষ হিসেবে বাঁচতে হলে টাকার সঠিক ব্যবহার জানতে হবে, 'টাকায় টাকা আনে' কেমনে তা শিখতে হবে অথচ এবিষয়ে আমাদের সর্ব সাধারণের জ্ঞান এখনো প্রাথমিক স্তরে। সঞ্চয় করার অভ্যাস ভাল গুণ কিন্তু অর্থ ভাগ্যের জন্য অপরিহার্য নয়. দরকার বিনিয়োগের অভ্যাস, টাকা দিয়ে টাকা আনার অভ্যাস। অর্থের সঠিক ব্যবহারে অর্থ সৃষ্টির দক্ষতাই বাজার পৃথিবীতে টিকে থাকার সবচেয়ে কার্যকরী দক্ষতা যা সবার প্রয়োজন। অবিশ্বাস্য বেপার যে আমারা অর্থ ব্যবহারে অর্থকরী দক্ষতাকে এখনও জ্ঞান বলে মনেই করিনা
একজন মানুষের জীবনে যত টাকা আসে যায় তার প্রভাব ও ফলাফল 100% ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও অবৈজ্ঞানিক কিন্তু তা ব্যবহারের দক্ষতাই আমাদের অর্থ ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক এবং এই দক্ষতা সহজেই অর্জন-যোগ্য। আমাদের শিক্ষা জীবন অক্ষর চেনা বা লেখা দিয়ে শুরু না হয়ে হওয়া উচিত টাকা চেনার ও ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। টাকা ব্যবহারে দক্ষতা থাকলেই টাকা থাকবে আর টাকা থাকলে অক্ষর না চিনলেও চলবে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের শিক্ষা কাঠামোতে এই অতি আবশ্যকীয় জ্ঞানার্জনের কোন পরিকল্পিত ব্যবস্থা নাই। 'অর্থই অনর্থের মূল', 'ত্যাগে সুখ, ভোগে নয়' জাতীয় আপ্ত বাক্যগুলি অর্জনের বদলে সংযমে উৎসাহিত করে, দারিদ্র্য জীবনকে মহিমান্বিত করে অজ্ঞাতেই তাকে আরাধ্য করে। দারিদ্র্য মানুষের প্রথম পাপ, আমাদের প্রথম শিক্ষা হওয়া উচিৎ এই পাপ মুক্তির।[/sb

আরো দেখুন: দরিদ্র ছাত্র দিয়ে কোনো দেশ ধনী হয় না! - #MillionaireStudent

http://www.somewhereinblog.net/blog/familipreneurship/30044546